Skip to main content

History of Puri's Jagganath RathYatra





১.জগন্নাথের জ্বর :-

রথের পনেরো দিন আগে অনরবাহ প্রথায় জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা হয়। এই অনরবাহ প্রথা সম্পর্কে আপনাদের দু চার কথা বলি। সাধারণ মানুষ যেভাবে স্নান করেন সেভাবে কি আর দেবতার স্নান হয়? তাই জগন্নাথ দেবের স্নানের জল আসে বদ্ধ কুয়ো থেকে। এমন কুয়ো যেখানে সূর্যের আলো পড়েনি। সেই রকম কুয়ো থেকে ১০৮ ঘড়া জলে তিনি স্নান করেন। আর স্নানের পরেই তাঁর খুব জ্বর হয়।

অসুখ করলে তাঁর চিকিৎসাও তো করতে হবে নাকি? প্রভু যখন স্নান করেন ‘চাহনি মণ্ডপ’ থেকে তা দেখেন শ্রীলক্ষ্মী মাতা। জ্বরের পর তিনিই নাকি প্রভুর সেবার দায়িত্ব নেন। আর তাঁকে সাহায্য করেন অন্ত্যজ দয়িতাপতিরা। জগন্নাথের সারা শরীরে চন্দন লেপে এই চিকিৎসা করা হয়। সেরে উঠতে সময় লাগে ১৫ দিন। আর এই সময়টা ভক্তদের দর্শন দেন না তিনি।

২. মাসির বাড়ির আদর :-

সবাই জানে যে রথের দিন মহাপ্রভু তাঁর দুই ভাই বোনকে নিয়ে চলে যান মাসির বাড়ি। মাসির বাড়ির আদর সাত দিন ধরে খেয়ে তবেই ফিরে আসেন নিজের বাড়ি। কখনও জানতে ইচ্ছে হয়েছে কে এই মাসি? তা হলে বলি শুনুন। পুরাণে কথিত আছে জগন্নাথ, বলভদ্র বা বলরাম ও সুভদ্রা যখন মাসির বাড়ি যেতেন তখন তাঁদের জন্য লাগত ছ’টি রথ। একসময় পুরীর মন্দির আর গুণ্ডিচা মন্দিরের মাঝখান দিয়ে বয়ে যেত সারদা নদী। রথে করে তো আর নদী পেরনো যায় না। তাই নদীর অপর পারে মাসি আরও তিনটি রথের ব্যবস্থা করে রাখতেন বোনঝি আর বোনপোদের জন্য। সব মিলিয়ে ছ’টি রথ। এই মাসির নাম হল অর্ধাসনী দেবী। প্রচলিত কথা অনুসারে মাসির হাতের তৈরি চালের পিঠে জগন্নাথের খুব প্রিয়। আজও অর্ধাসনী দেবীর মন্দিরে চালের পিঠের ভোগ দেওয়া হয়।




৩. প্রভুর গণপতি বেশ :-

হ্যাঁ, স্নানযাত্রার সময় জগন্নাথ দেবকে সাজিয়ে তোলা হয় গণেশের মতো। ব্রহ্মপুরাণ অনুযায়ী জগ্ননাথ দেবের পরম ভক্ত সাত্বিক ব্রাহ্মণ গণপতি ভট্ট জগ্ননাথকে গণেশরূপে দর্শন করেছিলেন। ভক্তের মান রাখতে প্রতি বছর স্নানের পর গণেশরূপে সেজে ওঠেন তিনি। জগন্নাথ দেব যে রথে চড়েন সেটির নাম নান্দীঘোষ (১৬টি চাকার রথ), বলরামের রথের নাম তালধ্বজ ( ১৪টি চাকার রথ) আর সুভদ্রার রথের নাম দর্পদলন (১৪টি চাকার রথ)।



এটি গুণ্ডিচা মন্দির, জগ্ননাথ দেবের মাসির বাড়ি



৪. জগন্নাথ দেবের বিশাল রত্নভাণ্ডার :-

প্রভুর কাছে সর্বস্ব বিলিয়ে দিতে রাজি থাকেন ভক্তরা। ইচ্ছে পূর্ণ হলে অনেক ভক্তই অনেক কিছু ডান করেন পুরীর মন্দিরে। জগন্নাথ দেবের রত্ন ভাণ্ডারে আছে মণি, মুক্তো, নীলকান্ত মণি, প্রবাল, সোনা, রুপো ও আরও অনেক কিছু। তিন ভাই বোনের একটি করে নেকলেস আছে যার ওজন প্রায় ১২০ তোলা! এছাড়াও রয়েছে তিন থেকে সাত হাজার ভরির তিনটে সোনার মুকুট। রত্ন ভাণ্ডারের একটি চাবি থাকে পুরীর গজপতি মহারাজদের কাছে। আর একটি থাকে মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছে। কথিত আছে এই রত্নভাণ্ডার পাহারা দেয় একটি সাপ, যার মাথায় আছে মণি। সেই সাপ যুগ যুগ ধরে রত্নভাণ্ডার পাহারা দিয়ে আসছে। পুরীর মন্দিরের প্রধান পুরোহিত ব্যতীত সেই সাপকে কেউ দেখতে পায় না বা না দেখার অধিকার নেই। জগ্ননাথের ভক্তরা মনে করেন, এই সাপ আছে বলেই বহুবার রত্নভাণ্ডার আক্রমণ করা সত্ত্বেও বিশেষ ক্ষতি হয়নি।


জয় জগন্নাথ

Source : Wikipedia & Media-Platform


THANK YOU

© copyright 2020 – All rights reserved

Comments

Popular posts from this blog

সংখ্যারূপেণ

  ষো ড়শো পচারে দুর্গাপুজো সারতে যে সামগ্রীগুলো ব্যবহার করা হয় , তার কোনোটারই ভিত্তিহীনভাবে পূজোয় অন্তর্ভুক্ত হয়নি , পঞ্চশস্য থেকে দশমৃতিকা-যা কিছু ব্যবহার করা হয় দুর্গাপূজায় ,তার মধ্যে সামাজিক অবস্থা ও বিজ্ঞান মানসিকতা এবং পুজোয় সবার অংশগ্রহণের ছাপ পাওয়া যায় বলে দাবি করেছেন পুরান বিশারদরা । Nepal Bhattacharya Street Pic Courtesy DEV Photography   দুর্গাপুজো আদতে ' শাকম্ভরী ' মূর্তিকল্পনার আড়ালে নবপত্রিকার পুজো । কৃষিভিত্তিক সমাজ গঠনের পর্বে শস্যদায়িনী পৃথিবীমাতার আরাধনাই প্রকৃতপক্ষে নবপত্রিকার পুজো । বাংলার দুর্গাপুজোয় এই ' নবপত্রিকা '-কে ' কলা বৌ' রূপে পূজা করা হয়। পুরাণসূত্র অনুসারে দেবীর ৯টি রূপ এবং সেগুলির প্রতিক হিসাবে ৯টি বিভিন্ন গাছের ডাল বা অংশ নিয়ে গড়া হয় ' নবপত্রিকা ' । এতে লাগে- কলাগাছ ,কালোকচু, মানকচু, হলুদ, জয়ন্তী,বেল, ডালিম, অশোক ও ধান ।এগুলি শ্বেত অপরাজিতার লতা ও হলুদ রঙের সুতো দিয়ে বেঁধে তৈরি হয় ' নবপত্রিকা '।এই বিভিন্ন গাছ বিভিন্ন দেবদেবীর প্রতীক । যেমন- কলাগাছ ব্রাহ্মণীর প্রতীক কালোকচু  কালিকার   প্রতীক  ম...

Mohun Bagan Athletic Club

MohunBagan Atletic Club Logo Estd - 15 August , 1889 Short Name - MB Nicknames - The Marines, Bagan, The National Club of India , Sabooj Maroon Brigade Founder - Bhupendra Nath Base Home Ground - SaltLake Stadium (68,000) , Mohun Bagan Ground(22,000), Barasat Stadium (22,000) , Rabindra Sarabor (13,000) ■ ■ Statistics ■ ■ ○○  FOOTBALL ○○ • NFL - 1997-98 , 1999-2000 , 2001-02 ● I League - 2015, 2019-20 • Fed Cup -1978,80,81,82,86,87, 1992,93,94,98,2001,06,08,2016 • Super Cup - 2006-07 ,2008-09 ● IFA Shield - 1911,47,48,52,54,56,60,62,67,69,76,77,78,79,81,82,87,89,1998,1999,2003 ● DURAND CUP - 1953, 59, 60, 63, 64, 65, 74, 77, 79, 80, 82, 84, 85, 86, 1994, 2000 • ROVERS CUP - 1955, 66, 68, 70, 71, 72, 76, 77, 81, 85, 88, 1991, 92, 2000-01 ● CFL - 1939,43, 44, 51, 54, 55, 56, 59, 60, 62, 63, 64, 65, 69, 76, 78, 79,83 , 84, 86, 90, 92, 94, 1997, 2001, 05, 07, 08, 09, 2018 • Airlines Gold Cup - 1...

শুভ জন্মদিন DISCO DANCER

মিঠুন চক্রবর্তী (জন্ম : ১৬ই জুন,১৯৫০) একজন খ্যাতিমান চলচ্চিত্র অভিনেতা, সমাজ সংগঠক এবং উদ্যোক্তা। শৈশবে 'গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী' নামে বাংলাদেশের বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। মৃগয়া (১৯৭৬) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তাঁর অভিষেক ঘটে। এ ছবির মাধ্যমেই তিনি 'সেরা অভিনেতা' হিসেবে ভারতের 'জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার' লাভ করেন। বর্তমানে তিনি পরশ টিভি'র প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন। তিনি এ পর্যন্ত ৩০০ টিরও অধিক হিন্দী চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এছাড়াও, উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বাংলা, পাঞ্জাবী, তেলেগু, ওড়িয়া, ভোজপুরী চলচ্চিত্রেও অংশ নিয়েছেন। তিনি মনার্ক গ্রুপের স্বত্ত্বাধিকারী, যা অতিথি সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। বর্তমান দাম্পত্য সঙ্গী: যোগিতা বালি (১৯৭৯ - বর্তমান) সন্তান: মহাক্ষয় চক্রবর্তী রিমোহ চক্রবর্তী নমাসী চক্রবর্তী দিশানি চক্রবর্তী শৈশবকাল ও শিক্ষাজীবন: মিঠুন চক্রবর্তী বাংলাদেশের বরিশাল জেলা বাকেরগঞ্জে বাঙ্গালী হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। 'অরিয়েন্টাল সেমিনারী'তে শিক্ষাজীবন শুরু করেন মিঠুন। পরবর্তীতে কলকাতার স্কটি...